রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এরই মাঝে অন্যতম হল ডিএ বা মহার্ঘভাতা। ডিএ বা মহার্ঘভাতা থেকে যখন বঞ্চিত রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা, তখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ১২ শতাংশ ডিএ দেওয়া কথা ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার৷ সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা৷ সেই সময় উপস্থিত ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণ দেববর্ম৷ এতদিন ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা ৮ শতাংশ ডিএ পেতেন৷ এবার তা বেড়ে হল ২০ শতাংশ৷
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, এর জন্য মাসে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ১২০ কোটি টাকা। এর ফলে উপকৃত হবেন, ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ সরকারি কর্মচারী ও ৮০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী৷ এদিকে, রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চিত করে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে বলে তোলা হয়েছে অভিযোগ৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছেন শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন৷
সমস্ত বকেয়া ডিএ এবং সকল শূন্য পদে স্বচ্ছ ভাবে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে যৌথ মঞ্চের ডাকে আগামী ২৭ জানুয়ারি গণছুটি এবং অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর কাছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের আহ্বান, এই কর্মসূচি সফল করে সারা রাজ্যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান স্তব্ধ করে কঠোর বার্তা দিতে হবে। সরকার দাবি না মানলে তাঁদের লড়াই চলবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী৷