ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবের ইস্তফা। আচমকা কেন ইস্তফা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই তিনি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের মাঝে তিনি জানালেন, সংগঠনের কাজে ফিরতে চলেছেন তিনি। শুক্রবার রাতেই অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে দেখা করেন বিপ্লব দেব। তারপরেই শনিবার আচমকা ইস্তফা দেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিপ্লব দেবের মেয়াদ আরও ১০ মাসের ছিল। তার আগেই হঠাৎ ইস্তফা দিলেন তিনি।

 

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন হয়। সেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে বিপ্লব দেবের। কিন্তু আচমকা বিপ্লব দেবের এই পদত্যাগ ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আগামী বছরই ত্রিপুরাতে বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক মহলের মতে দলের সাংগঠনিক কাজেই সম্ভবত বিপ্লব দেবকে বেশি লাগাতে চাইছে বিজেপি। সম্ভবত তাই জন্য অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব। যদি এই ইস্তফার কারণ তিনি খোলসা করে বলেননি। বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের তরফে নিশানা করা হয়েছে বিপ্লব দেবকে।

এদিন পদত্যাগের পরে বিপ্লব দেব জানান, আমার মতো কার্যকতা সংগঠনের কাজ করলে, নিশ্চয়ই সংগঠন লাভবান হবে। প্রত্যেক কাজের একটা সময়সীমা থাকে। তার মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। আমাকে যেখানে যে কাজে লাগানো হবে। সেটা মুখ্যমন্ত্রী হোক কিংবা সংগঠনের কাজে। বিপ্লব দেব সব কাজেই ফিট। পার্টি সবার উপরে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে এবং নেতৃত্বে দলের জন্য কাজ করেছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ত্রিপুরার জনগণের জন্য ন্যায়বিচার করার চেষ্টা করেছি।