তৃণমূলের টার্গেট ২০২৪! তাকে সামনে রেখে বাংলার বাইরেও সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসক শিবির।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে তিনজনকে বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিযর নাম। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। সেই বাবুল সুপ্রিয়কে জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে বেছে নিল তৃণমূল। এছাড়াও এই পদে দায়িত্ব এ রয়েছেন আরও দুজন। এই নেতারা হলেন কীর্তি আজাদ , মুকুল সাংমা।
উল্লেখ্য, গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা মোদি সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ওই দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাংলার শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলের টিকিটে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
গত বছরই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এর পর নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দেয়ার পর কীর্তি আজাদ বলেছিলেন, ‘‘বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দেশে এখন মমতার মতোই নেত্রী চাই। ওঁর নেতৃত্বে মানুষের জন্য কাজ করব।’’
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কীর্তি। একইভাবে আচমকা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মেঘালয়ের তৎকালীন বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক। মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৮। ১২ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় রাজ্যে প্রধান বিরোধীদল হল তৃণমূল। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এনডিএ-র ৪০ বিধায়ক।