সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন এবং চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ দিনহাটা ১ নং ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মদক্ষ নুর আলমকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানালো। দীর্ঘদিন ধরেই দিনহাটা ১ নং ব্লক এবং সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্চায়েত গুলিতে অনাস্থা আনছিল দলের একাংশ যার সাথে সরাসরি যোগ রয়েছে নুর আলমের বলে জানান জেলা সভাপতি আর সে কারণেই দলের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এর আগেও একবার নুর আলম কে বহিস্কার করা হয়েছিল পরবর্তীতে তাকে আবার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নুর আলম সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদিশ বাসুনিয়া ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অপরপক্ষে এই জগদিশ বাসুনিয়া রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পন্থী। উদয়ন গুহ সাথে দীর্ঘদিন ধরেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের চলছিল ঠান্ডা লড়াই আর সে কারণেই উপনির্বাচনে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কে দেখতে পাওয়া যায়নি নির্বাচনী প্রচারে। এমত অবস্থায় নুর আলম কে বহিস্কার করাকে কেন্দ্র করে নতুন করে গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও এ বিষয়ে নুর আলম বলেন – আমাকে কেউ জানায়নি আপনাদের মুখ থেকে শুনলাম আমি দলের কাজ যেভাবে করছিলাম সেভাবেই করব। এই প্রসঙ্গে সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন – জেলা কমিটিতে কোনরকম আলোচনা হয়নি আলোচনা ছাড়া এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই। কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গীরিন্দ্র নাথ বর্মন বলেন – বারংবার নুর আলম কে ডেকে অনস্থান আনার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে এবং তাকে সাবধান করা হয়েছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে জেলার শুধুমাত্র সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র এবং দিনহাটা ১ নং ব্লকে ধসা রোগ অর্থাৎ বারবার অনাস্হা পঞ্চায়েত গুলিতে লক্ষ্য করা যায় যার নেপথ্যে নুর আলম। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে আর সে কারণেই তাকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হল দল। ফলে স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম গোষ্ঠী কোন্দলের আশঙ্কা কোচবিহার জেলায় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির কনভেনার অভিজিৎ বর্মন বলেন – এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব ব্যাপার তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন গঠনতন্ত্র নেই। যে যেদিকে পারে সে সেভাবে সংগঠন চালায়। আজকেরই ঘটনা আরো একবার প্রমান করলো তৃণমূল কংগ্রেস কাটমানি ছাড়া চলতে পারে না আর সে কারণেই যখন কাটমানি কম হয় তখন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতন আটক করে। তিনি বলেন এর আগেও নুর আলমকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিষ্কার করেছিল পরবর্তীতে তাকে আবার দলে নেওয়া হয়। এখন দেখার এই বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের অন্দরে নতুন করে গোষ্ঠী কোন্দল কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নেয় কোচবিহারে।