দেশে আগমন ঘটেছে বর্ষার। আর এরমাঝেই বজ্রপাতের জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা নীতীশ কুমারের রাজ্য বিহারে। জানা যাচ্ছে, রবিবার বিহারের আট জেলায় বজ্রাঘাতে অন্ততপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই রাজ্যে। শনিবার রাতের পর রবিবার প্রায় সারাদিন ধরেই আবহাওয়া খারাপ ছিল বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড় এবং বজ্রাঘাতের দাপট। আর সেই বজ্রপাতের কারণে একই দিনে রাজ্যজুড়ে অন্ততপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে তিনি নিহতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন বলে খবর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন টুইটারে নিতিশ কুমার লেখেন, ‘ভাগলপুরে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈশালীতে মৃত ৩, খাগাড়িয়ায় দু’জন, কাটিহার, সহরসা, মাধেপুরা, মুঙ্গেরে এক জনের করে মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বাঙ্কায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে মৃতদের পরিজনকে।’ একইসঙ্গে তিনি এই মুহূর্তে আবহাওয়া পরিস্থিতি উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন বলেও খবর।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে আগামী বেশ কয়েকদিন বিহারের আবহাওয়া খারাপ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার প্রায় সারাদিনই এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক দুর্যোগ দেখা দেয়। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের দমকায় একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবে বহু বিদ্যুতের খুঁটিও নষ্ট হয়েছে এবং তার জেরে এই মুহূর্তে বিহারের বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে ঝড়বৃষ্টির প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে। এই মুহূর্তে সব থেকে খারাপ অবস্থা ভাগলপুর ও বাঁকা জেলার। বজ্রাঘাতে মৃত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যেও ছয়জন ভাগলপুরের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া কাটিহার, সহরসা, মাধেপুরা, মুঙ্গেরের মতো একাধিক জেলাতেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর।