শীতের সময় নলেন গুড়ের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

নভেম্বরে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হয়। পরের দিকে ধীরে ধীরে শীত জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করে। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা থাকায় শীতের কনকনে ভাব হাড়ে হাড়ে টের পায় মানুষজন। আর এরপর জানুয়ারি মাসে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। সে সময় বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির অনুষ্ঠান। পিঠে-পুলি তৈরিতে চাই নলেন গুড়। মালদার কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের মন্ডাইয়ের বছর ৫০-য়ের আমিনুল ইসলাম খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেই রস জাল দিয়ে নলেন গুড় তৈরি করেন। প্রতি বছরই খেজুর গাছ থেকে রস বের করে নলেন গুড় তৈরি করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। আমিনুলের কথায়, ‘প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫টি খেজুর গাছ কিনতে হয়। সে গাছ থেকে রস নেবার পর কমপক্ষে সাতদিন বিশ্রাম দিতে হয়, একে বলে শুখনা। এই শুখনা না দিলে রসের স্বাদ থাকবে না।’

নলেন গুড় তৈরি করেন দেওনাপুরের রফিক হোসেনও। বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি গুড় তৈরির কাজে হাত লাগান তাঁর দুই ছেলে সফিক ও সাজিদ। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান হাট সহ বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন হাটে-বাজারে নলেন গুড় ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেন।’ আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া, কিন্তু গুড়ের দাম সেভাবে পাওয়া যায় না। শীতের সময় নলেন গুড়ের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’ নলেন গুড় কিনতে এসেছেন দাড়িয়াপুরের রকিম শেখ। তিনি বলেন, ‘আমিনুলের তৈরি নলেন গুড়ের একটা নাম আছে এলাকায়। যার জন্য আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন চলে আসেন আমিনুলের বাড়ি গুড় কিনতে।’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘গত দু’দিন ধরে চলতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার রেশ পাওয়া যাচ্ছে হাড়ে হাড়ে।’