বিগত দু বছর ধরে করোনা সংক্রমণে নাজেহাল দেশবাসী। সংক্রমণের কারণে হারিয়েছে বহু প্রাণ। এখনো পর্যন্ত চলছে সংক্রমণের জের। এরই মাঝে দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স। এর কারণ বুঝে ওঠার আগেই দেখা দিয়েছে আরেক নতুন সংক্রমনের ঢেউ। যার নাম ‘টম্যাটো ফ্লু’। বাংলার একাধিক পড়শি রাজ্য তথা দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বহু শিশু এমন খবর মিলছে। এই রোগের মূল উপসর্গ প্রবল জ্বর এবং র্যাশ। ওড়িশা থেকে কেরল, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য মিলিয়ে প্রায় শতাশিক শিশু এই রোগে সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জ্বর, র্যাশ ছাড়াও ইতিমধ্যেই আরও বেশ কয়েকটি উপসর্গের হদিশ মিলেছে এই ‘টম্যাটো ফ্লু’র। সেগুলি হল, পেটে ব্যাথা, বমি, ডায়রিয়া, সর্দি, নাক থেকে জল পড়া। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের প্রায় সকলেই শিশু তাই মনে করা হচ্ছে যে এই রোগে প্রধানত তারাই আক্রান্ত হবে। এতএব শিশুদের নিয়ে আতঙ্ক আরও বেশি বাড়ল এখন থেকে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ৩ থেকে ৫ দিন থাকে এই রোগের উপসর্গ। যদিও এটি প্রাণঘাতী নয়। তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার উপক্রম খুব একটা হয় না। তবে এই রোগের উপসর্গ দেখা দিল সতর্ক থাকতে হবে বলেই মত তাদের।
এদিকে বাংলার পড়শি রাজ্যে এর হদিশ মিললেও এখনও এই রাজ্যে এই রোগ ধরা পড়েনি। কিন্তু অনেক চিকিৎসক দাবি করেছেন যে, একই উপসর্গ নিয়ে একাধিক শিশু আগেই তাদের কাছে এসেছে। অন্যদিকে তথ্য মিলেছে যে, কেরলে সরকারিভাবে ৮০ জন এবং ওড়িশাতে ২৬ জন এই ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়েছে। মূলত আক্রান্তদের গায়ে ছোট ছোট ফস্কার মতো দেখা যাচ্ছে, অনেক সময়ে তা মুখের ভিতরেও হচ্ছে তাই খেতে সমস্যা হচ্ছে। এই কারণেই চিকিৎসকরা বলছেন, কোনও বাচ্চা যদি খেতে না চায় বা খেতে সমস্যা হয়, তাহলে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
কী ভাবে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস? চিকিৎসকদের দাবি, হাত এবং মুখের মাধ্যমেই এই রোগ ছড়াচ্ছে। এটি আদতে একটি ভাইরাস যা কোনও ভাবে খাদ্যনালীতে ঢূকে গিয়ে রোগ ছড়ায়। তাই হাত এবং মুখ পরিষ্কার রাখতে বলছেন তারা। সেই এক করোনা থেকে বাঁচতে যা করা হচ্ছে, তার মতোই বারবার হাত-মুখ ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।