রোজা চলাকালীন ডায়াবেটিস পরিচালনার নির্দেশিকা

রমজান আগমনের আনন্দে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রার্থনা এবং রিফ্লেকশনের এক মাসব্যাপী যাত্রা শুরু করবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য অবশ্য এই পবিত্র সময়টি এক কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হতে পারে, তবুও ইসলামী ক্যালেন্ডারের এই পবিত্র মাসে সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ডায়াবেটিস পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের জন্য, খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা হতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য, এই খাবারগুলিকে কোনো আকস্মিক ওঠানামা প্রতিরোধ করার জন্য সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটি সুষম পুষ্টি পরিকল্পনার পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কন্টিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটরিং প্রিক-ফ্রি ডিভাইসগুলির সাহায্যে সঠিক এবং রিয়েল-টাইম রক্তের গ্লুকোজ রিডিং কন্টিনিউয়াস চেক করা যেতে পারে। একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যবেক্ষণের সংমিশ্রণ উপবাসকারীদের জন্য অপরিহার্য, যা পুরো পবিত্র মাসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। ডাঃ সুপ্রতীক ভট্টাচার্য, এমবিবিএস, এমডি মেডিসিন, এমআরসিপি (ইউকে), এমএসসি এন্ডোক্রিনোলজি এবং ডায়াবেটিস, এফআরসিপি, এএমআরআই হসপিটালস, কলকাতা, জানিয়েছেন, “T2DM এবং বিশেষ করে TIDM-এর সাথে বসবাসকারীদের জন্য, রমজান মাসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ যাতে উপবাসের সময় কোনো হাইপোগ্লাইসেমিক ঘটনা না ঘটে।

রোজা রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের রমজান শুরুর আগে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক যাতে ডাক্তার যথাযথভাবে ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ বা কোন বিশেষ পরামর্শ দিতে পারেন।” এছাড়া ডাঃ সুপ্রতীক ভট্টাচার্য রমজান পালন করার সময় ডায়াবেটিস পরিচালনা কয়েকটি টিপস দিয়েছেন যেগুলি হল- নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা চেক করা, ইফতারের সময় শরীরকে সঠিকভাবে পুষ্টি যোগান দেওয়ার, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে শরীরকে সচল রাখা, ঘুমের সময়কে সেট করার পরামর্শ দিয়েছেন।