অন্য কোন কাজ নয়,শুধুমাত্র চুরি করেই দিনের পর দিন জীবিকা অর্জন করে চলছিল রোহিত কান্তি,মোহাম্মদ বিপুল এবং টিংকু ভূঁইয়ার। অবশেষে পুলিশের জালে ওই তিন অভিযুক্ত।শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকাসহ প্রতিটি থানা এলাকাতেই বেড়েছে চুরির ঘটনা।একের পর এক চুরির ঘটনায় রাতের ঘুম উড়েছে পুলিশের।প্রতিটি চুরির ঘটনায় তদন্তে নেমে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও এই তিন দুষ্কৃতিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না।সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার সিপাহী পাড়াতে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
একটি বাড়ি থেকে সেলাই মেশিন থেকে শুরু করে নানান সামগ্রী চুরি করে দুষ্কৃতীরা।সেই ঘটনার তদন্তে নামে নিউ জলপাইগুড়ি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ।অবশেষে মিলল সাফল্য।ধরা পরল তিন কুখ্যাত অপরাধী।ধৃতদের নাম রোহিত কান্তি,মোহাম্মদ বিপুল এবং টিংকু ভূঁইয়া।এই তিন অভিযুক্ত এর আগেও বেশকিছু থানায় চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা এরা ঘটালেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এরা গা ঢাকা দিয়েছিল।বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ভোলামোড় এবং জোরপাকুরি এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে।
ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী।নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে চুরি এদের জীবিকা।পাশাপাশি মাদকের নেশায় আসক্ত তিনজন।ধৃতদের শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।অপরদিকে উদ্ধার হওয়ার সমস্ত সামগ্রী আদালতের নিয়ম মেনে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।