বিগত দুদিন ধরে আবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার পর আবার চিন্তিত ভারতবাসী। করোনার দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা কিছুটা কিছুটা কমে যাওয়ার পর আবার তা ঊর্ধ্মুখি হলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৫ জন। ফের বাড়ল উদ্বেগ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৩২। গতকালের তুলনায় বেশি মৃতের সংখ্যাও। দু’দিন পর তা ফের ৫০০ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৬২ জনের। গোটা অতিমারি পর্বে করোনাভাইরাস দেশে প্রাণ কাড়ল ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫৭ জনের। তবে চলতি মাসেই দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমণের পাশাপাশি এদিন আবার ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৩ জন। এসব চিন্তার মাঝেই অবশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ২২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৬৮ জন। টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত দেশে সাড়ে ৪৮ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ভয় নিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে বঙ্গবাসী। এর মাঝে কোনওদিন করোনা দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা কমছে তো পরের দিনই ফের চড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। মঙ্গলবার সন্ধেয় স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৯ জন। যার মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনায় (৮৯)। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি (৭৮)। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। সবমিলিয়ে এদিন রাজ্যের মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ২৪ জন। তবে স্বস্তি দিয়ে কমেছে সংক্রমণের হার (১.৬৭ শতাংশ)।
তবে রাজ্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতা। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৭৫৬ জন। ফলে এ রাজ্যের মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ১ হাজার ৮৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.১১ শতাংশ। কমেছে সক্রিয় বা অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিন রাজ্যের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজা ৭৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে এ রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ হাজার ১৭০ জন।