করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সব চেয়ে বড়ো উপায় টিকাকরণ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখনও বহু মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটাই নেননি৷ টিকাকরণ ত্বরাণ্বিত করতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন টিকাকর্মীরা৷ শুধু তাই নয়, যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ বকেয়া রয়েছে এবং শয্যাশায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন তাঁরা৷
ইতিমধ্যেই পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে টিকাকরণে জোড় দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র৷ সেই পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্যও৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজ মিলিয়ে প্রায় ৭.৪ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। কিন্তু টিকাকরণে প্রদানে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য।
সে জন্যেই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা হবে৷ প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “সাধারণত আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে প্রতিটি বাড়ির নিবিড় যোগ থাকে। তাই তাঁদেরকেই এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উদ্দেশে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষ কর্তা ও সচিব সৌমিত্র মোহন৷ সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য ও আশা কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে হবে। তাঁরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরবে৷ খোঁজ নেবেন।
যদি দেখা যায় কেউ টিকা নিতে চাইছেন না, তাহলে তাঁকে সচেতন করা হবে এবং বোঝানো হবে। একই ভাবে যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ বকেয়া রয়েছে, তাঁদেরও টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক বাড়িতেই বয়স্ক লোকজন রয়েছেন, যাঁরা ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না৷ সে ক্ষেত্রে তাঁদেরও বাড়িতেই টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন আশা কর্মীরা।