এবার ওমিক্রনের জন্য তৈরী হওয়ার নির্দেশ রাজ্যের তরফে

বিশ্ব জুড়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের বাড়তে থাকা সংখ্যা৷ ডেল্টার আক্রমণ থেকে কিছুটা রেহাই মিলতেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন৷ বেশ কয়েকটি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে৷ করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতাতেও৷ আমাদের রাজ্য তথা দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে প্রবেশ দ্বারে৷ অর্থাৎ বিমানবন্দরে নজরদারি জোড়দার করতে তৎপর রাজ্য৷ 

এই উদ্দেশে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিদেশ থেকে আসা সকল যাত্রীকে ভারত সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্তর্দেশীয় বিমানে সফর করার ক্ষেত্রেও যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগাম সতর্কতা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ‘ওমিক্রন রুম’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের পাশাপাশি দেশীয় বিমানের যাত্রীদের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে৷ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলি অর্থাৎ যে সকল দেশে ক্রমেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সকল দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রয়েছে ৪৫টি ইউরোপীয় ও অন্যান্য ১১টি দেশ সহ মোট ৫৬টি দেশ৷ এই সকল দেশ থেকে আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক৷

এই দেশগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুরের মতো যে সকল প্রতিবেশী দেশের বিমান কলকাতায় অধিক ওঠা-নামা করে, সেই সকল যাত্রীদের উপরেও বিশেষ নজরদারির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ বিদেশ থেকে আগত কোনও যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ এলেই তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই সোজা বেলেঘাটা আইডি অথবা অন্য কোনও বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷  সরকারি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আগত কোনও যাত্রী করোনা পজেটিভ হলে তাঁর নমুনা বাধ্যতামূলকভাবে জিনোম সিক্যোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে৷ পাশাপাশি, যে বা যাঁরা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও করোনা টেস্ট করা হবে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে করোনা টেস্টের হার বাড়ানো এবং টিকাকরণে জোড় দেওয়ার বিষয়েও প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওমিক্রন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার৷ তাই আগেভাগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেললেন মুখ্য সচিব৷