সময় খারাপ যাচ্ছে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের। একের পর এক ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে গেরুয়া শিবির। গত বছর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে ঘটনা ঘটিয়েছিল, ভোটের পর থেকে ঠিক সেই একই ঘটনা তাদের বিরুদ্ধেই ঘটে আসছে। যারা দল বদল করে লাইন দিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাদের অনেকেই আবার ফেরত আসছেন পুরনো দলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে। কারণ ভোটের আগে তৃণমূলই সবথেকে বেশি খালি করেছিল বিজেপি। হালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, সকলের পুরনো দলে ফিরেছেন বিজেপি ছেড়ে। তবে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে ‘ঘরে ফেরার’ জল্পনা নেই। বরং শোনা গিয়েছে তিনি সিপিএমে নয় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন!
দল বদল নিয়ে এখন কেউই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারে না। যে কেউ, যখন তখন, যে দলে যেতে পারে। তাহলে কি শঙ্কর ঘোষ সত্যিই তৃণমূলে যাচ্ছেন? বিজেপি বিধায়ক নিজে এই বিষয়ে কী বলছেন? তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে রাজনীতি কোনও ব্যবসা নয় আর তিনি নিলামে ওঠা কোনও খেলোয়াড় নন যে এইভাবে দল বদল করবে। এখন তিনি বিজেপি বিধায়ক, বিজেপির হয়েই কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন। বিরোধী মানুষের কন্ঠস্বর হয়ে থাকতে চান। আসলে সম্প্রতি শ্যামনগরের সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন তার পর থেকেই শঙ্করকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
কী বলেছিলেন অভিষেক? তৃণমূল নেতার দাবি ছিল, বিজেপি থেকে আসার জন্য দরজা বন্ধ থাকবে এবার। অনেকেই নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চাইছেন কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় আসতে পারছেন না। কিন্তু কারা বিজেপি ছাড়তে চাইছেন সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে প্রথম থেকেই একটা দোটানা ছিল যে তিনি গেরুয়া শিবিরে মানাতে পারবেন কিনা।