সরকারের তরফে জানানো হলেও কাজ হয়নি আদতে। সরকারি দফতরে লক্ষাধিক শূন্যপদ কিন্তু ৩ বছর কোনও নতুন নোটিফিকেশন নেই। আর ২০১৯ সালে ক্লার্কশিপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
সেক্রেটারিয়েট ডাইরেক্টরিয়েটের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও এখনও রিজিওনালের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তাই চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে পিএসসি অফিসের সামনে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শিত হল।
রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে দমকলে নিয়োগ, পিএসসি, টেট, এসএসসি, আশা কর্মী, পুলিশ, কোনও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে বাকি নেই। তাই রাজ্য সরকারের ওপর যে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে তা আন্দাজ করাই যায়।
আবার এদিনের মতো এর আগেও পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। এসআই পদের চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভে বসে জানিয়েছিল, আইনি জটিলতার কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে নিয়োগ বন্ধ ছিল।
কিন্তু পরে জটিলতা কেটে নিয়োগ শুরু হলে মোট ৯১৭ জনের প্যানেল থেকে মাত্র ১০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। বাকিদের ব্যাপারে কোনও আপডেট নেই। সেই সমস্যার মাঝেই আজ ক্লার্কশিপের নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ।
চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মে মাসেও এই ভবনের সামনে আন্দোলন করা হয়। পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের অভিযোগ ছিল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও দুর্নীতি হয়েছে৷
নির্দিষ্টভাবে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ দাবি, অন্যায় ভাবে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এই মুহূর্তে কালচিনির বিডিও হিসাবে কর্মরত৷