এবার শুরু হলো বড়ো জল্পনা৷ বিরতি পড়তে চলেছে দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে৷ অর্থমন্ত্রীর পদে হতে চলেছে বদল৷ নিঃসন্দেহে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ দশ বছর দক্ষ হাতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতর সামলেছেন তিনি৷ অর্থমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ দশ বছরের ইনিংস এ বার হয়তো শেষ হতে চলেছে অমিত মিত্রের। এবার হয়তো বিদায়ের পালা৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অমিত মিত্র। আর ভোটে দাঁড়াবেন না তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হলেই সরে দাঁড়াবেন। এমনটাই খবর। শারীরিক কারণে এই অপারগতার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি অবসর নিলে কাকে অর্থমন্ত্রী করা হবে, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷ সে ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই দফতরটি রাখতে পারেন।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে তিনি লড়েননি। তখনই দলনেত্রীকে তিনি জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর পক্ষে অর্থমন্ত্রী থাকাও আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। তৃণমূল সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর অর্থমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অমিত মিত্র৷ নভেম্বর মাসে তাঁর মেয়াদ ফুরনোর কথা৷ কিন্তু উপনির্বাচনে আর দাঁড়াতে চান না অর্থমন্ত্রী৷ জানা গিয়েছে মন্ত্রিত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর বিদেশে কন্যার কাছে গিয়ে কিছুদিন অবসর কাটাতে চান অমিতবাবু৷
২০২১ সাল থেকে তৃণমূল সরকারের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ সেসময় রাজ্যের বিপুল দেনা সামলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর সামনে। নির্বাচনী ইস্তাহারে লেখা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং রাজ্যের চালু প্রকল্প ঠিকমতো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মমতার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। একে পুঞ্জীভূত ঋণের বিপুল বোঝা রাজ্যের কাঁধে। তার উপরে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে খরচ জোগানোর অঙ্গীকার। এই কঠিন ভারসাম্য রক্ষায় অমিতের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরেই গত দশ বছর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছেন মমতা। সাধ্যমতো তা সামলেও এসেছেন অমিত। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন জিএসটি পরিষদে সমস্ত রাজ্যের হয়ে দর কষাকষিতেও। গত ৭ জুলাই তিনি নিজে বাজেট পেশ করতেও পারেননি। তাঁর তৈরি করে দেওয়া বাজেট পেশ করেছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার থামতে চলতে তার দীর্ঘদিনের কর্ম জীবন।