করোনা সংক্রমণকে রোধ করার প্রধান উপায় টিকাকরণ। ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়া বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে এই টিকাকরণের জন্য কী কী নথি লাগবে। সেই ইস্যুতেই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানান হয়েছে, ১ তারিখ থেকেই নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন ১৫-১৮ বছর বয়সিরা।
আগামী ৩ তারিখ থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগে কো-উইনি অ্যাপে স্কুলের পরিচয় পত্র দেখিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবে স্কুল পড়ুয়ারা। আসলে ছোটদের আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড না থাকায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল যে তাদের নথিভুক্ত করার জন্য কী প্রমাণ পত্র লাগবে। অভিভাবকদের একটা চিন্তা ছিল এই বিষয়ে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সব ধোঁয়াশা দূর করে দিয়েছে। এখন স্কুলের পরিচয় পত্র দেখিয়েই নাম নথিভুক্ত করা যাবে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রমনের সংক্রমণ বাড়ছে৷ ভারতেও অনেকের ওমিক্রমন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে৷ এদিকে দেশে একাধিক রাজ্যেই খুলে গিয়েছে স্কুল-কলেজ। তাই ১৮ বছরের কম বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়া দিয়ে তোড়জোড় অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই ঘোষণা করেন মোদী।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড, ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড, ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড রয়েছে৷ আইসিইউ ও নন-আইসিইউ মিলেয়ে ৯০ হাজার বেড রয়েছে৷ শিশুদের জন্যেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে৷ দেশে ৩ হাজারের বেশি অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে৷ রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত টিকা, ওষুধ ও টেস্টিং কিট দেওয়া হচ্ছে৷ এই রোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে মিশন মুডে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল ভারত৷ এছাড়াও দেশে ১৪১ কোটি টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৯১ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। ভারত কঠিন লক্ষ্য পার করেছে, বলে দাবি তাঁর।