রাজ্যে চলতে থাকা এক একটি বড়ো মামলা, এক এক করে তুলে দেওয়া হচ্ছে সিবিআই-এর হাতে৷ এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ এসএসসির মতো প্রাথমিকেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ, পাশ না করা ও মেধা তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীদের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে৷
এসএসসি-র মতো ২০১৬ সালের প্রাথমিক টেটের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেও রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে তদন্তের দায়িত্ব দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এদিন আদালত জানায়, রঞ্জন কি কাল্পনিক চরিত্র৷ আদৌ তাঁর অস্তিত্ব আছে কিনা তা তদন্ত করবে সিবিআই৷
রাজ্যের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশ, মামলাকারি আইনজীবী যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তুলে দেবেন সিবিআইয়ের হাতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ই জুন৷ তার মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলার তদন্তে উপেন বিশ্বাসকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।” তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে সিবিআই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। বলা হয়েছে, চাইলে অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডল অর্থাৎ রঞ্জনকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
সরকার পক্ষের আইনজীবী লক্ষী গুপ্ত এদিন বলেন, কে মামলা করলেন? তিনি কি একজন চাকরি প্রার্থী? এটা কোনও জনস্বার্থ মামলা নয়।মামলাকারি নিজের পরিচয় দেয়নি৷ আদালত যথাযথ তথ্য প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন? প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কে বা কারা যুক্ত তা পরিষ্কার নয়। আমি আশা করব মামলাকারি সাহস দেখিয়ে বিষয়টা প্রকাশ্যে আনবেন।