বাংলার ‘দিদি’ এবার হয়ে উঠলেন বাঙালি নারী হিসাবে এক অনন্য নিদর্শন, কলমের লেখায় উঠে এলেন তিনি

তিনি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বার যুদ্ধ জয় করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন তিনি। এবার তিনি উঠেই এলেন কলমের লেখায়। অনুমানই হল সত্য। শেষমেষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কলম ধরলেন তৃণমূলের মুখপত্রে প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিবন্ধে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করলেন অনিল-তনয়া। উত্তর সম্পাদকীয় স্তম্ভের চতুর্থ তথা শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। যার অনেকটা জুড়েই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতাকে ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী’ ও ‘জননেত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সত্তরের দশকের শেষদিকে বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে পা রাখলেন এবং তাঁর কীভাবে উত্থান ঘটল, সেই বিবরণ তুলে ধরেছেন অনিল-কন্যা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘মহিলা নেত্রী হিসেবে রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন যে নেত্রী, তিনি হলেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এই কথাই লিখেছেন অজন্তা বিশ্বাস। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে মমতাকে ‘অন্যতম সেরা বাঙালি নারী’ বলে উল্লেখ করেছেন অজন্তা। অজন্তার লেখায় উঠে এসেছে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গও। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৈরি গণবিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন মমতা।

মহিলাদের জন্য তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বাংলার মেয়েদের আরও কাছের হয়ে উঠেছেন বলেও মত অনিল-কন্যার। তৃণমূল সুপ্রিমোর লড়াইকে রীতিমতো কুর্নিশ জানিয়ে অনিল-তনয়া। নারীশক্তির জয়ের বন্দনাই প্রতিফলতিত হয়েছে তাঁর কন্ঠস্বরে, একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নিজের যোগ্যতায় নজির গড়েছেন সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার পরে আলোচনা শুরু হয়েছে সিপিএমের অন্দরে।