আর কিছু সময়ের অপেক্ষা তার পরেই উপস্থিত হবে প্রতীক্ষিত সময়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে মাঝে আর বাকি মাত্র দেড় মাস। ইতিমধ্যেই শহরের অলিতে গলিতে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জোর কদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ।
আর তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিতে সোমবারই রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অন্যবার শুধুমাত্র কলকাতার পুজো কমিটিগুলিই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকের আমন্ত্রণ পেতেন।
কিন্তু এবারের বৈঠকে আনা হয়েছে কিছু বদল। জানা যাচ্ছে কলকাতার পুজো কমিটির পাশাপাশি জেলার পুজো কমিটিগুলোও সোমবারের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। আজ এই বৈঠকে কি নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে কলকাতার পাশাপাশি জেলার পুজো কমিটিগুলো।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে এই বৈঠকে পুজো কমিটির কর্তাদের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। একইভাবে জেলার শীর্ষ পুলিশকর্তা ও জেলাশাসক স্তরের আধিকারিকদেরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটিগুলিরই নজর মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ঘোষণার দিকে। গত কয়েক বছর ধরে কলকাতাসহ জেলার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অনুদান সংক্রান্ত ঘোষণা করেন কি না, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে পুজো কমিটিগুলি।
প্রসঙ্গত আগামী বছরই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেই এ বছর পুজো কমিটিগুলিকে বিশেষ আর্থিক অনুদান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। ফলে এই বছর সেই অনুদান কত হবে তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এ বছর ইউনেস্কো পশ্চিমবঙ্গের শারদোৎসবকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতায় এক বিরাট র্যালির আয়োজন করেছে নবান্ন। এই মিছিল আয়োজনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। সেই মিছিল সংক্রান্ত কি কি বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় সেদিকেও নজর সকলের। সব মিলিয়ে আগাজকের এই বৈঠক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সর্বস্তরে।