একের পর এক নাম জড়িত হচ্ছে হিংসা মামলায়৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও দুই বিধায়ককে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ ওই দুই বিধায়ক কেষ্ট ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত৷ দুর্গাপুরে এনআইটি’র অস্থায়ী গেস্ট হাউসে সিবিআই-এর অস্থায়ী দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত-কন্যার কললিস্ট৷ তাঁর মেয়ের কল লিস্টও চেক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তবে এবার গরু পাচার মামলাতেও অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুকন্যার নাম জড়িয়ে গেল। তাঁর নামেও প্রচুর সম্পত্তি আছে বলে ধারণা সিবিআইয়ের। তাই তাদের নজরে আরও একবার চলে এলেন সুকন্যা। আসলে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল তাঁর সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন। সেই হিসাব ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামেও বেশ কিছু সম্পত্তি কেনা হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, বেশ কিছু সম্পত্তি কেনা হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু যে সব নথি দেওয়া হয়েছিল, তার বাইরেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে অনেক সম্পত্তি আছে তাঁর মেয়ের নামেও। এছাড়া গরু পাচারের টাকার লেনদেন সংক্রান্ত কারবারে অনুব্রতের চার দেহরক্ষী ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জন জড়িয়ে আছেন বলেও সন্দেহ করছে সিবিআই। আগের সপ্তাহেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা এবং পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহানওয়াজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ সেই সময়েই অনুব্রতর কন্যার কল লিস্ট নজরে আনে তারা।
এই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। সূত্রে খবর, অন্য একটি নম্বর থেকে একাধিক বার্তা পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত৷ সেখান থেকে বেশ কিছু নম্বরে ফোন করে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রত এইসব লোকের সঙ্গে অন্য ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখতেন। এতএব তাদের ধারণা, মেয়ের নম্বর থেকেও বেশ কিছু কাজ তিনি করেছেন।