পার্থর পর সিবিআইয়ের হেফাজতে রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ভোলে ব্যোম রাইসমিলে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই৷ এক নাটকীয় পর্বের পর সেখানে ঢোকেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ সেখান থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের৷
তাঁদের কড়া নজরে রয়েছে বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির উপরে৷ সোমবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ‘যোগ’ থাকা আরও একটি চালকলে হানা দিল সিবিআই। এদিন সকালে বীরভূমে ‘শিবশম্ভু রাইসমিলে’ অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে যাওয়ার পর ওই চালকলের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
বোলপুরে জামবুনি যাওয়ার পথে ভুবনডাঙা সুকান্তপল্লি এলাকায় প্রায় ১০-১২ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে এই ‘শিবশম্ভু’ চালকলটি। সূত্রের খবর, এই চালকলের অংশীদারিত্ব রয়েছে অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষের নামে। স্থানীয়দের দাবি, ‘শিবশম্ভু’ চালকলে আনাগোনা ছিল ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের’৷
জানা গিয়েছে, অমিত আগরওয়াল নামে বর্ধমানের এক ব্যক্তি ২০ বছরের জন্য ওই চালকলটি লিজে নিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রচুর দেনা নিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন। এর পর ওই চালকলটি লিজ নেন শিবচরণ দাস এবং শিবানী ঘোষ৷ তাঁদের লিজের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে।
মালিকপক্ষের দাবি, গত ২০ বছর ধরে এই চালকল লিজে চলছে৷ তাঁদের কথায়, এই লিজ যে কেউ নিতে পারেন। সেটা ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ হোক বা অন্য কেউ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চালকলের অংশীদার শিবানী ঘোষ আসলে কেষ্টর দিদি। তাঁর ছেলের রাজা ঘোষ কেষ্টর ভাগ্নে। আরও জানা গিয়েছে, বোলপুরে রাজার নামে আরও এক চালকল রয়েছে৷