মেলা অথচ সার্কাসে বিভিন্ন রকমের খেলা থাকবে না ? সার্কাস এবং নাগরদোলা ছাড়া কোনো মেলাকেই মেলা বলে মনে হয় না। আর কথা যখন হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার তখন তো কোন কথাই নেই।কোচবিহারের প্রাচীন এই মেলা এ বছর ২১০ তম বছরে পা দিলো। কোচবিহারবাসী তথা আশপাশের জেলার সমস্ত মানুষ মুখিয়ে থাকে এই রাস মেলার জন্য। সকল কোচবিহার বাসীর আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই মেলার সঙ্গে।
জীবজন্তুদের সার্কাসে না খেলানোর আইন তৈরি হওয়ার পর কিছুবছর দুই একবার কোচবিহারের রাস মেলায় সার্কাসের দেখা পাওয়া যায়নি। তারপর কিছু কিছু ছোট সার্কাস এসেছিল। কিন্তু এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় অজন্তা সার্কাস কোচবিহারের মেলায় এসেছে। বর্তমান যুগে সার্কাস দল কমে গেলেও সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমে যায়নি সার্কাসের উপর থেকে।এখনো সার্কাস দেখতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক মানুষ ভিড় করেন মেলায়। হাজির হন কয়েক ঘন্টার আনন্দ উপভোগ করতে।
কোচবিহার রাসমেলায় আগত অজন্তা সার্কাসের ম্যানেজার সঞ্জিত ঘোষাল জানান, “বর্তমানে আমরা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে সেই রকম কোন বড়ো সার্কাস নেই। বড়ো বলতে একমাত্র অজন্তা সার্কাস ই রয়েছে। কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুরোধে আমরা এই প্রথম কোচবিহার রাসমেলায় এলাম। আমরা মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। টিকিটের দামও একদম সাধারন মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে। ১ টা, ৪ টে ও সন্ধে ৭ টা তে তিনটি শো দেখানো হচ্ছে। জীবজন্তু ও পশু দেখানো নিষিদ্ধ থাকায় আমরা পশ্চিমবঙ্গের দেশীয় সমস্ত শিল্পীদের বিভিন্ন রকমের খেলা দেখানোর জন্যে নিয়ে এসেছি। মানুষ সার্কাস দেখতে এসে যাতে আনন্দ নিয়ে হাসিমুখে ফিরে যেতে পারে আমাদের তরফ থেকে সেই সমস্ত রকম আনন্দের খেলা রাখা হয়েছে”।