রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আধিকারিকরা৷ নিসার আলি নামে ওই ব্যবসায়ীর খাটের নীচে থরে থরে সাজানো ছিল নোটের বান্ডিল৷ যথারীতি পলাতক আমির খান নামে সেই ব্যবসায়ী। তারপর প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি আরও ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
এখানেই শেষ নয়। ইডি সন্ধান পায় আমিরের সঙ্গী রুমেন আগরওয়ালের। উল্টোডাঙায় ব্যবসায়ী রুমেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। তার ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকাউন্ট থেকেও ৭ কোটি টাকা ইডি ফ্রিজ করে। কিন্তু অর্থের হিসেব এখনও সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। ইডি মনে করছে, আমির খানের লেনদেনের পরিমাণ সাত হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
যে পরিমাণ টাকার সন্ধান এতদিনে মিলেছে তাতে কলকাতা পুলিশ এবং ইডি উভয়ের সন্দেহ গোটা প্রতারণা চক্রে গত দু’বছরে ৭ প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। পরিস্থিতি এমন, যে দেশের বাইরের লেনদেনের বিষয় জানতে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলেও আন্দাজ করা হচ্ছে। ইডির ধারণা, রুমেনের মতো অন্যান্য এজেন্টদের সাহায্যেই বিদেশি এজেন্ট তৈরি করত আমির।