‘বাবা-মা হিসেবে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন’, বললেন আর জি করের তরুণীর বাবা

Estimated read time 1 min read

আমি স্বর্ণপদক বিজয়ী হতে চাই। স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় (এমডি পরীক্ষা) প্রথম হতে চান। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকের বাবা জানান, নাইট শিফটে যাওয়ার আগে মেয়ে তার ডায়েরিতে এমন স্বপ্ন লিখেছিল। নাইট শিফট যে এমন অভিশপ্ত দিনে পরিণত হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।

মিডিয়াড় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণী ডাক্তারের বাবা (যিনি স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন) বলেছেন যে আমার মেয়ে খুব মেধাবী ছিল। তিনি দিনে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। তিনি প্রায় সব সময় বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতেন। তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানান, মেয়েটি তার স্বপ্ন পূরণে কঠোর পরিশ্রম করেছে।

কিন্তু এক রাতেই স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। শুক্রবার সকালে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণী ডাক্তারের বাবা জানিয়েছেন, মেয়েটি তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। মেয়েটির বাবা জানান, বাবা-মা হিসেবে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে ফেরত পাব না। তবে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। এবং আমি আশাবাদী হতে পারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমর্থন আমাদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার সাহস জোগায়’।

এদিকে বৃহস্পতিবার ওই তরুণ চিকিৎসকের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তরুণী ডাক্তারের ডায়েরি, বই দেখেছেন। তার বাবা-মায়ের আশংকা অনুসারে, মেয়েটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাল ছিল না। বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

You May Also Like

More From Author