গত কয়েক বছর ধরে কমবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। এর পেছনের কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। তবে, অনেক সময় এমনও হয় হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল, অথচ আপনি টের পেলেন না। এমন অনেক হৃদরোগ রয়েছে, তা জানান দিয়ে আসে না। এমনই একটি রোগ হল ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’। অনেক লক্ষণ রয়েছে হার্ট অ্যাটাকের। কিন্তু সেরকম কোনও লক্ষণ নেই ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এর। একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন বলে।
মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন, এই অবস্থায় হার্ট অক্সিজেন পায় না ঠিকমতো। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলেও আপনি সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকেরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখে বুঝতে পারবেন আপনি হৃদরোগের আক্রান্ত।
১) সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ অত্যধিক ক্লান্তি। এমনকি বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি ক্লান্তি না যায়।
২) সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হলে আপনি বুকে অস্বস্তি অনুভব করবেন। খুব বেশি না হলে বুকে হালকা ব্যথা ও চাপ অনুবব করবেন। এছাড়া বদহজমের মতো বুক জ্বালা বা বুকের পেশিতে ব্যথা অনুভব করবেন।
৩) দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। বিশেষত শারীরিক পরিশ্রম করার সময় নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। কিংবা কায়িক পরিশ্রম করার সময় হাঁপিয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের হতে পারে।
৪) বমি বমি ভাব, পেটের যন্ত্রণা, বদহজম বা গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু সেটা অ্যাসিডিটি ভেবে উড়িয়ে দেবেন না। এটাও লক্ষণ হতে পারে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের।
৫) বুকের পাশাপাশি ঘাড়, হাত, পিঠ, কোমর, থুতনি বা পেটে অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। ব্যথা বা চাপও অনুভব করতে পারেন। এটাও একটা লক্ষণ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের। এমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।