অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর এবার বেশ কয়েকজন সাংসদ, বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে পারে বলে খবর! রাজ্য রাজনীতির জোর জল্পনা এই মুহূর্তে বিজেপির অন্তত তিনজন বিধায়ক, তিনজন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। মূলত তাঁদের নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে রাজ্য থেকে চারজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে বিজেপির। তাঁদের মধ্যে তিনজনই প্রাক্তন তৃণমূলী। ফলে তারা দল বদল করবেন কিনা তা নিয়ে নাকি প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির অন্দর মহলে। সেই চার সাংসদ হলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, খগেন মুর্ম, জগন্নাথ সরকার। বলা বাহুল্য, ২০১৯-এ বিজেপি রাজ্য থেকে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে। তবে এই মুহূর্তে বিজেপির আসন সংখ্যা ১৬ বললে খুব একটা ভুল হবে না। আসানসোলের উপনির্বাচনে তৃণমূল জয় পেয়েছে। আর ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে বিজেপির এই শক্তিও কি রাজ্য থেকে থাকবে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ৭৭টি আসনে জয়লাভ করে করে। তবে এরপর হওয়া উপনির্বাচনে বিজেপি একাধিক আসন হারায় তৃণমূলের কাছে। এছাড়াও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, কল্যাণীর বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। পাশাপাশি বাঁকুড়ার বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর তৃনমূল সূত্রে। যদিও এঁরা প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তারা বারংবার বলছেন যে বিজেপিতেই আছেন। এদিকে এবিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যোগাযোগ করা তা সম্ভবকর হয়ে ওঠেনি।
এখন দেখার বিষয় আদৌ তারা পদ্মফুল শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিবেন কিনা?
প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপি-তে আবারও ভাঙ্গনের ইঙ্গিত দিয়ে গতকাল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘অনেক গদ্দার, মীরজাফর এবং দুনম্বরী এখনও বাইরে আছে ,আমি দরজা বন্ধ করে রেখেছি। দরজা খুলে দিলে দলই উঠে যাবে।’ অর্থাৎ তৃণমূল চাইলে বিজেপিতে ভাঙ্গনের বন্যা বয়ে যাবে। পাশাপাশি অর্জুন সিংও জানিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি কিছু না বলাই ভালো।