রাজ্যের পাশাপাশি ভুল মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশেও সৃষ্টি হলো উত্তাল পরিস্থিতির। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর এসএসসি দুর্নীতি কান্ড নিয়ে যখন কার্যত উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ঠিক তখনই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যে সংসদে বিপাকে কংগ্রেস দল।
অধীর সংবাদমাধ্যমের সামনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে সম্বোধন করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এসেছে আরো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন সোনিয়া গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। জানা গিয়েছে স্মৃতি ইরানির ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে ভরা সংসদে তাঁকে সোনিয়া বলেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলবেন না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আপাতত দ্বিধাবিভক্ত গোটা সংসদ। একদিকে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা যখন সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্যকে সামনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছেন অসভ্যতার অভিযোগ, ঠিক তখনই কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও সোনিয়া গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টুইটারেও শুরু হয়েছে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি সংসদ ভবনেই উপস্থিত ছিলেন। ফল তিনি দেখেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শান্তিপূর্ণভাবেই বিজেপি সংসদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
সেখানে হঠাৎই স্মৃতি ইরানি উপস্থিত হন তাঁদের কথার মাঝেই তিনি সোনিয়া গান্ধীকে বলেন, ‘আমি কি আপনাকে কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি?; কথাটা তিনি খোঁটা দেওয়ার সুরেই বলেছিলেন। আর তাতেই মেজাজ হারান সোনিয়া এবং চিৎকার করে বলেন ‘আপনি আমার সঙ্গে কথা বলবেন না।’ তাতেও থামেননি স্মৃতি ইরানি।
তিনি পাল্টা সোনিয়া গান্ধীকে বলেন, ‘আপনার সাহস কি করে হয় আমার সাথে এভাবে কথা বলার। এটা আপনার পার্টি অফিস নয়।’ তখনও সোনিয়া পাল্টা জবাবে একই কথা বলেন যে, ‘আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না।’ এরপরেই কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা সোনিয়া গান্ধী এবং স্মৃতি ইরানিকে টেনে আলাদা জায়গায় নিয়ে যান।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ এই গোটা ঘটনাটিকেই ‘সাজানো আক্রমণ’ বলে দাবি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরছে।
একই কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামেশ। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আজ লোকসভায় সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন আচরণ করেছেন। কিন্তু স্পিকার কি এর নিন্দা করবেন? নিয়ম তো শুধু বিরোধীদের জন্য।’