সাড়া মিলছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়

পূর্বে কয়লা খনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হলো আবেদন। ডেউচা-পাচামি কয়লা খনি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার সময়েই রাজ্যের তরফে জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়েই ইতিমধ্যেই বড় ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ডেউচায় জমিদাতাদের পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সাড়া মিলতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, এতদিন এই ইস্যুতে যে জটিলতা রয়েছে তা হয়তো ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

ডেউচা-পাচামিতে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবের বিপক্ষে রয়েছে মোড়লদের একাংশ। তাদের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে তারা এখানে কয়লা খনি চান না। বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সরেনকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করিয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তাতেও আপাতত বরফ গলেনি বললেই চলে। কিন্তু এই চাকরির প্রতিশ্রুতিতে সাড়া মিলতে শুরু করেছে। সরকারি চাকরির জন্যই এখন জমা পড়ছে একের পর এক আবেদন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যারা জমি দেবেন তাদের পরিবারের এক জনকে সিনিয়র বা জুনিয়র কনস্টেবলের পদে চাকরি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সরকার ৫ হাজার ১০০ নতুন পদ তৈরি করেছে। সেই ঘোষণার পরেই এখন অনেকে জমি দিতে প্রস্তুত হচ্ছে চাকরির বিনিময়ে। ইতিমধ্যেই ওই জমিদাতাদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

যারা জমি দিয়েছেন বা এখন দিতে উদ্যোগী হচ্ছেন তাঁদের বক্তব্য, পরিবারের একজন যদি চাকরি পান তাহলে গোটা পরিবার সুরক্ষিত হয়ে যাবে। এদিকে তাঁদের ওখানে শিল্প হলে সার্বিকভাবে এলাকার উন্নয়ন হবে। তাই জমি দিতে তারা আগ্রহী। শেষ তথ্য বলছে, আপাতত দেড় হাজার চাকরির আবেদন পত্র জমা পড়েছে। প্রসঙ্গত, আদিবাসী সমাজের একাংশের মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। তারা জানিয়েছিল, এখানকার সাধারণ মানুষ কী চাইছে তা জানার চেষ্টা করেনি রাজ্য সরকার। আগেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে তাই তার প্রেক্ষিতে উচ্ছেদের আশঙ্কা করছে এখানের অনেকে।