শীত উধাও হতেই বাড়ছে গরম, বদলাচ্ছে আবহাওয়া। এই সময়কে বলা হয় ‘সিজন চেঞ্জ’। স্বাভাবিক নিয়মেই এই পরিবেশে একাধিক রোগের বৃদ্ধি ঘটে তাই সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু। অনেক ক্ষেত্রে আবার অ্যাডিনোভাইরাসের শিকার হচ্ছে কয়েকজন। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসক মহলে।
কলকাতা ও জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দিনদিন বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ২০১৮-১৯ সালের পরে আবার ফিরে আসছে অ্যাডিনোভাইরাস যা আগের থেকেও বেশি দাপাদাপি শুরু করবে বলে আশঙ্কা। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় কমতে থাকার কারণে আরও বেশি করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে ধারণা। বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, কোভিডের কারণে শিশুরা দীর্ঘ সময়ে ঘরবন্দি ছিল, বাইরে মেলামেশা করেনি। তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেছে আগের থেকে।
মূলত শিশুরা এবং বয়স্করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যে কোনও বয়সীদের চাপ থাকে বৈকি। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার দু’দিন থেকে দু’সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। অ্যাডিনোভাইরাসের কারণে চোখ, অন্ত্র, মূত্রনালী ও স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বমি ও শ্বাসকষ্টের প্রাবল্য বাড়ে এবং একই সঙ্গে সারাদিন জ্বর-জ্বরভাব লক্ষ্য করা যায়।