বর্গাকার সাদাকালো সাঙ্কেতিক একটি ছবি হচ্ছে কিউআর কোড। অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেএে এটি ব্যবহার করা হয়। এটা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। সময় থাকতে বিষয় টা জানা দরকার। হুগলির বাসিন্দা একটি বেসরকারি সংস্থা কর্মীর ফোনে এক সন্ধ্যায় হঠাৎ একটি মেসেজ ঢুকে। যা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ জমা পড়ার সঙ্কেত বহন করে। ফোন তুলে দেখেন, তার অ্যাকাউন্টে আট হাজার টাকা ঢুকেছে। কে এই টাকা পাঠিয়েছেন, কেন পাঠিয়েছেন কিছুই বোঝেননি। কোথাও টাকাটা তাঁর পাওনা ছিল বলেও মনে করতে পারছিলেন না।
আচমকা অচেনা নম্বরে ফোন ঢুকল । ফোন তুলতেই শুনলেন অচেনা কণ্ঠ, ‘‘দাদা, আপনার ফোনে কি এইমাত্র আট হাজার টাকা ঢুকেছে?’’ ঢুকেছে, বলতেই সেই অপরিচিত ব্যক্তি নিজের নাম বলল, ‘‘এক বন্ধুকে টাকা পাঠাতে গিয়ে আপনার নম্বরে টাকাটা চলে গিয়েছে। দয়া করে আমাকে টাকাটা ফেরত দিন। খুব বিপদে পড়ে গিয়েছি।’’ হুগলির বাসিন্দা, লোকটি কিছুটা আশ্বস্ত হন। টাকাটা কোথা থেকে এসেছে জানা গিয়েছে।
যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে, সেখানেই তা হলে টাকা ফেরত পাঠাতে পারবেন। ফোনকারী সেটা বললেন না। বললেন, ‘‘আমি আপনাকে একটা কিউআর কোড পাঠাচ্ছি। প্লিজ় সেখানে টাকাটা দিয়ে দিন।’’ সেই ব্যক্তির কথা মত পাঠানো কিউআর কোড ব্যবহার করে আট হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে ছিলেন হুগলির বাসিন্দা যুবক। তার পর তাঁর ফোনে মেসেজ ঢুকে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তিন বার আরও আট হাজার টাকা কেটে গিয়েছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে গিয়েছে ২৪ হাজার টাকা। কী থেকে কী হয়ে গেলো, কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি।