একাধিক অভিযোগ রয়েছে দেশের নব নির্মিত মন্ত্রি ক্যাবিনেটের বেশিরভাগ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে

সবে মাত্র গঠিত হয়েছে মোদী সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা। শুরু হলো জল্পনা। এরইমাঝে উঠছে অভিযোগ উঠছে এই মন্রিসভার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভার পথ চলা। প্রধানমন্ত্রী-সহ মোট ৭৮ জন মন্ত্রীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের নতুন মন্ত্রিসভা। ক্যাবিনেটে বড়সড় রদবদল করেছে মোদী সরকার। নয়া মন্ত্রিসভার মধ্যে ৪২ শতাংশ অর্থাৎ ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। ২৪ জন অর্থাৎ ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা এবং ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগ। মোদী মন্ত্রিসভার রদবদল এবং সম্প্রসারণের পর এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। নয়া মন্ত্রিসভার ঘোষণা এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই মন্ত্রীদের নির্বাচনী হলফনাফার তথ্য তুলে ধরে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পর্যবেক্ষণ সংস্থা এডিআর।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এদের নধ্যে বাংলার আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এবং নিশীথ প্রামাণিক-সহ চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মতো মারাত্বক অভিযোগ রয়েছে। জন বার্লার বিরুদ্ধে গুরুতর ৯টি মামলা রয়েছে। নিশীথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ১১টি মামলা। এছাড়াও অন্যান্য আরও ৩৮টি মামলা রয়েছে। বাংলার আরেক সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে মন্ত্রীদের দেওয়া বিভিন্ন হলফনামা থেকে। তবে এডিআর-এর রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এই প্রথমবার দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

এ তো গেল অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য। ধনবলের দিক থেকেও গেরুয়া শিবিরের নতুন মন্ত্রিসভা রীতিমতো রেকর্ড গড়ল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদীর নয়া মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ জন মন্ত্রীই কোটিপতি। তাঁদের মধ্যে আবার চার জনের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটির বেশি। অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া নতুন মুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৯ কোটি। তালিকায় তার পরেই রয়েছেন পীযূষ গয়াল (৯৫ কোটি), নারায়ণ রাণে (৮৭ কোটি), রাজীব চন্দ্রশেখর (৬৪ কোটি)। নতুন মন্ত্রিসভায় যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ সবচেয়ে কম তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা (১৪ লাখের বেশি), ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিক (৬ লাখের বেশি), রাজস্থানের কৈলাস চৌধুরি এবং ওড়িশার বিশ্বেশ্বর টুডু।