সকাল হয় পাখির ডাকে। আবার সন্ধ্যা নামে পাখিদেরই গানে। বছরভর এই ছবিটা দেখতেই অভ্যস্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, রোগী থেকে আত্মীয় পরিজনেরা। হাসপাতাল ক্যাম্পাস জুড়ে অজস্র শিরিশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধা চূড়া, ছাতিম সহ অজস্র গাছের ছড়াছড়ি। আর সেই সব গাছেই স্থায়ী আস্তানা অসংখ্য নাম জানা-না জানা পাখির। ভোরের আলো ফুটতেই পাখির দল আকাশে উড়ে যায়। দিনান্তে ফেরে নিজেদের বাসায়। এ ভাবেই দিন, মাস ঘুরে বছর কেটে যায়। তাই দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম নামি এই সরকারী চিকিৎসাকেন্দ্রে পাখিদের যাওয়া-আসা বন্ধ হয় না কখনও।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। বলছেন চিকিৎসক থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। চিকিৎসক ইরাবতী চক্রবর্ত্তী বলেন, হাসপাতালে তো ‘জীবন-মৃত্যু চলতেই থাকে’, তার মাঝে পাখিদের এই কলরব মনকে অনেকখানি প্রশান্তি দেয়।
এই হাসপাতালের ইন্টার্ণ শঙ্খদীপ পাল বলেন, আমরা এই মুহূর্তে হাসপাতালে আন্দোলনে রয়েছি, পাখিদের এই কলরব আমাদের আন্দোলনের সূর যেন ধরিয়ে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে পাখিদের এই উপস্থিতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে বলে তিনি জানান।