পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে পাহাড় রাজনীতিতে সমীকরণ বদলে যাওয়ার পর থেকেই। গত কয়েক বছরে পাহাড় রাজনীতিতে বারবার পট পরিবর্তন হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন পাহাড়ের অন্যতম রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা বিনয় তামাং। প্রভাব বাড়তে থাকে অনীত থাপা ও তাঁর অনুগামীদের।

সেই সময় থেকেই কোণঠাসা হতে থাকেন বিনয়। এরপর অনীত থাপার হাতে চলে যায় জিটিএ। এখানেই শেষ নয়, আস্থা ভোটে দার্জিলিং পুরসভাও অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে অনীত থাপার দল। এদিনের আস্থা ভোটে অনীতের দলকে তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর সমর্থন জানিয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বিনয়। এরপরই তৃণমূল থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

পাহাড়ের দুর্নীতি দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিনয়। এই পরিস্থিতিতে বিনয় তাঁর পুরনো দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ফিরে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাহাড়ে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তাই পাহাড় রাজনীতি আগামী দিনে কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।