বাড়ছে আশঙ্কা, রাজ্য জুড়ে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা নির্বাচন ঘিরে

লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হল মালদার রতুয়া থানার চাঁদমণি এলাকায়। একটি হাই মাদ্রাসার পরিচালনা সমিতির নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী যেভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলার মানুষ।

দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ পর্যন্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় মানুষের দাবি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে এখন থেকেই উদ্বেগ বাড়ছে জেলাবাসীর। আসলে সবার লক্ষ্য একটাই, মধুভাণ্ড কার হাতে থাকবে। তাই সবকিছু নিজের দখলে রাখতে হবে। সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে যাবতীয় সমস্যা। ঘটনা হল এই পরিচালন সমিতির নির্বাচনে একটি আসনেও বাম, বিজেপি বা কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয়নি।

অথচ ছটি আসনে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী পৃথকভাবে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। মালদা জেলার সাংগঠনিক নেতারা, রতুয়ার বিধায়ক-সহ অন্যান্য নেতাদের অনুগামীরা দুটি আলাদা গোষ্ঠীর হয়ে সকাল থেকেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন। একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা একটা সামান্য ঝলক ছাড়া আর কিছুই নয়।