স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশের

দেশের প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে তৎপর নীতি আয়োগ। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিক থেকে দেশের রাজ্যগুলির কী অবস্থা যা জানাতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। সেই রিপোর্টে দেখা গেল, স্বাস্থ্য বিষয়ে সবথেকে ভাল জায়গায় রয়েছে বাম শাসিত কেরল। বড় ব্যাপার, সবথেকে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এমনটাই। তাই ভোটের মুখে থাকা যোগী রাজ্য অবশ্যই চাপে পড়েছে। নীতি আয়োগের চতুর্থ স্বাস্থ্য সূচকের রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি।

এই রিপোর্ট বলছে, স্বাস্থ্য বিষয়ে শীর্ষে থাকা কেরলের পর রয়েছে তামিলনাড়ু এবং তেলাঙ্গানা। অন্যদিকে, সব থেকে খারাপ অবস্থা যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের। তার ওপরে রয়েছে বিহার এবং মধ্যপ্রদেশ। তবে উত্তরপ্রদেশের জন্য খুশির খবর এই যে, ২০১৮-১৯ সালের নিরিখে সবথেকে বেশি স্বাস্থ্যে উন্নতি হয়েছে এই রাজ্যে। এদিকে, সবথেকে কম উন্নতি করেছে রাজস্থান। তবে পশ্চিমবঙ্গের কথা এই রিপোর্টে উল্লেখ করেনি নীতি আয়োগ। কারণ তারা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এই পর্যায়ে সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তাই এই রাজ্যের কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দৈনিক সংক্রমণে বহুদিন শীর্ষে ছিল কেরল। তখন তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়। তবে এই রিপোর্ট কার্যত অবাক করেছে সকলকে।

প্রসঙ্গত, ওমিক্রন নিয়ে এমনিতেই উদ্বেগ বাড়ছে দেশে। রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে পরামর্শ দিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, ডেল্টা সংক্রমণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য থেকে ওমিক্রন প্রজাতির বাড়বাড়ন্তের চিত্র ধরা পড়ছে। কোথায়, কতজন, কোন ভাইরাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, উৎসবের মরশুমে যেখানে যেরকম প্রয়োজন, সেরকম বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি পরিস্থিতির যথাযথ মুল্যায়ন করে আগামী সময়ের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।