দ্রুত গতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে পৃথিবী

দিনের পর দিন বদলাচ্ছে আবহাওয়া৷ যত সময় এগোচ্ছে তত বদল হচ্ছে এর৷ দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই পরিবর্তন চোখে পড়ছিল। এই বদলের ফলে বাড়ছে বিপদ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং -র জেরে সেই পরিবর্তন ঘটছে দ্রুত গতিতে। এই পরিবর্তন বজায় থাকলে বা বাড়তে থাকলে ধ্বংসের আর বেশি বাকি নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে সতর্ক করার পর এ বার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এমনই লাল সঙ্কেত দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সোমবার এ নিয়ে ইন্টার গভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে নিজের তাজা রিপোর্ট জমা দিয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, এ ভাবে চলতে থাকলে কোনও দেশই রক্ষা পাবে না। প্রি ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগে তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি বেড়ে যাবে আগামী ২১০০ -র মধ্যে৷ এটা আটকাতে বড় মাত্রায় গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন এখনই কম করতে হবে৷

১৮৫০ থেকে ১৯০০-র মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা প্রাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সময়ে তাপমাত্রা আগের থেকে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৪০ -র মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি বেড়ে যাবে৷ ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ি ২ ডিগ্রি যেন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়া হয়৷ এটা যেন ১.৫ ডিগ্রি -র মধ্যে রাখা হয়৷ বৈজ্ঞানিক বলেছেন পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বেড়ে গেলে গোটা পৃথিবীর জলবায়ু চিরজীবনের জন্য বদলে যাবে৷ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের জন্য যা খুবই বিপদজনক৷ এই রিপোর্টে পৃথিবীর জলবায়ুর সাম্প্রতিক অবস্থান খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, প্রতিনিয়ত এই গ্রহে বদল ঘটছে, যার প্রভাব পড়ছে গ্রহ এবং জীবজন্তুর উপর। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তৈরি করা এই সমীক্ষা রিপোর্ট সর্বজনগ্রাহ্য। এই দাবি তারপর তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে৷