শিলিগুড়ি : রাত পোহালে ছট পুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর প্রস্তুতি। জায়গায় জায়গায় চলছে ঘাট তৈরির কাজ। পাশাপাশি ছট পুজোর আগে যে সকল রীতি মানা হয় তাও শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। লাউ ভাত পর্ব থেকে শুরু করে নাহাই-খাই ও খরনা র মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ছট পুজো পালন। এরই মাঝে শিলিগুড়ির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের গীতা দেবী ঘাটে অবস্থিত উত্তর বঙ্গের একমাত্র সূর্য মন্দিরে চলছে জোর কদমে ছট পুজোর প্রস্তুতি। মূলত এসজিডিএ এর তত্ত্বাবধানে আজ থেকে প্রায় আট-নয় বছর আগে করা হয়েছিল এই সূর্য মন্দির। যা বলা হয় উত্তরবঙ্গের একমাত্র এই ঘাটেই সূর্য মন্দির অবস্থিত। যে কারণে ছট পুজোর দিন ব্যাপক ভিড় হয় এই গীতা দেবী ঘাটে। মূলত সমন নগর গীতা দেবী ঘাট ছট পুজো ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দ্বারা পরিচালিত হয় এই মন্দির এবং এর ঘাট প্রাঙ্গন। তাই প্রত্যেক বছর ছট পুজোর বহু আগ থেকে শুরু হয় ঘাট সাজানোর কাজ। ঠিক তেমনি এবছরও প্রায় ১৫ দিন আগ থেকে শুরু হয়েছে ঘাটের সাজসজ্জা। ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে এই ঘাটে।
মূলত এই ঘাট ও সূর্য মন্দিরের আরেকটি বিশেষত্ব হলো এটি দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থল। একদিকে বয়ে চলেছে মহানন্দা তো অপরদিকে মহিষমারী নদী বয়ে চলেছে ঠিক তার পাশেই এবং দুই নদীর মিলন স্থলে রয়েছে এই সূর্য মন্দির এবং গীতা দেবীঘাট। যে কারণে ছট পুজোর দিন হাজার হাজার মানুষ এই ঘাটে সূর্যদেবতার মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান। তাই প্রত্যেকবার কড়া নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা থাকে মন্দির চত্বর। ঠিক তেমনি এবছরও পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, সিকিউরিটি এবং সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে ফেলা থাকবে এই ঘাট চত্বর। তবে এসবের মাঝেও রয়েছে এক আক্ষেপ, যা হল এই ঘাট পাকা করার দাবী। জানা যায় সোসাইটির তরফে এই ঘাট পাকা করার দাবি বহুবার উঠে এসেছে।
ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের কাছেও এবছরও একই দাবি জানালেন সোসাইটির কার্যকর্তারা। তাদের দাবি যদি এই ঘাট পাকা করা হয় তাহলে এই ঘাটের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে এবিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে সকলকে জানানো হয়েছে। তারা আশাবাদী খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। সবমিলিয়ে এই বছরও প্রত্যেকবারের মতো বেশ বড় আকারে এই সূর্য মন্দিরে ছট পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। একদিনে যেমন থাকছে সামাজিক উদ্যোগ ঠিক তেমনি থাকছে বিশেষ প্রসাদের আয়োজন। এই সব মিলিয়েই উত্তরবঙ্গের একমাত্র সূর্য মন্দিরে অবস্থিত গীতা দেবী ছটঘাটে এবারও ব্যাপক সংখ্যক ভিড় হবে বলে মনে করছেন সমন নগর গীতা দেবী ঘাট ছট পুজো ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা।