আরো বেশি জটিল হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি

দেখতে দেখতে প্রায় দু মাসের বেশি সময় অতিক্রম করলো যুদ্ধ পরিস্থিতি। একেই বলে মরার উপর খাড়ার ঘা। অন্তত ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা সেটাই বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যেকার সংঘাত পার করেছে আড়াই মাস। দীর্ঘদিন ধরে চলা রাশিয়ার একের পর এক জোরালো হামলায় কার্যত মৃত্যুপুরীর রূপ নিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। কিন্তু এর মধ্যেই খবর পাওয়া যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অভাবেই এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামতে পারে বেলারুশ। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে সরাসরি আঘাত হানার উদ্দেশ্য নিয়ে বেলারুশের বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে কিছু জানা যায়নি।

তবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার কথা কার্যত অস্বীকার করে দিয়েছে বেলারুশ সরকার। বেলারুশ সরকারের পাল্টা দাবি ইউক্রেন সরকার বেলারুশ সীমান্তের কাছে সাম্প্রতিককালে বিশাল সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে, যার কারণ অজানা। মূলত সেই করণেই ইউক্রেন সীমান্তের দক্ষিণ দিকে থাকা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্ত অঞ্চলে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর ক্রেমলিনের আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাশিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে বেলারুশ। সেই কারণেই বেলারুশ সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোয় ইউক্রেনের ওপর বেলারুশ বাহিনীর সশস্ত্র সংঘাতের জল্পনা আরও বেড়েছে। তবে এই সশস্ত্র বাহিনী প্রসঙ্গে বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলিভচ জানিয়েছেন, দু’দেশের সংঘাতের মাঝখানে আমেরিকা এবং ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির ইউক্রেন সীমান্তে তাদের সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। তাতে যাতে বেলারুশের সীমান্তে কোনওরকম সমস্যা না তৈরি হয় এবং দেশের নিরাপত্তা বজায় থাকে তার জন্যেই বেলারুশ সরকার ইউক্রেন সীমান্তে বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে। আপাতত সরাসরি আক্রমণ কিংবা সংঘাতের কোনো উদ্দেশ্যই নেই বেলারুশ সরকারের।

বেলারুশ সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ইউক্রেন সরকার বেলারুশ সীমান্তের কাছে ২০ হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে। যাতে কিছুটা হলেও নিরাপত্তার কথা চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে বেলারুশকে। আর তারই প্রতিক্রিয়া জানাতে বেলারুশ প্রজাতন্ত্র পাল্টা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে। বেলারুশ সেনাপ্রধানের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর ক্রেনিনও। তবে সরকারি তরফে যাই বলা হোক না কেন দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে কিন্তু একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন সরকারকে কোনও বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে কেন সেনা মোতায়ন করেছে ইউক্রেন তার যথার্থ কোনও কারণ এখনও জানা যায়নি বলে খবর।