সবার আশঙ্কা সত্যি করে শুরু হলো সামরিক অভিযান৷ চার দিন হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। এই আবহে গতকাল বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশে বৈঠকে বসতে চায় তারা এমনটাই জানান হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেন আলোচনা চাইলেও আলোচনাস্থল নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের। বেলারুশে তারা বৈঠকে বসতে চায়নি। কিন্তু আপাতত সেই সমস্যার সমাধান হল। বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হল ইউক্রেন।
প্রথমে ইউক্রেনের তরফে জানান হয়েছিল, যুদ্ধ ইস্যু নিয়ে বেলারুশ রাশিয়াকে সমর্থন করেছে, সাহায্য করেছে। তাই সেখানে কোনও আলোচনা হবে না এই ইস্যু নিয়ে। তবে এখন বেলারুশ সীমান্তে তারা বৈঠক করতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই আলোচনার জন্য বেলারুশে রাশিয়ার প্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছেন। তবে কখন এবং ঠিক কোথায় এই বৈঠক হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে আরও একটি বিষয় চিন্তা বাড়াচ্ছে কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এই বৈঠক সফল না হলে হয়তো রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে পারে। তাই বেলারুশে ইউক্রেন-রাশিয়া কী আলোচনা হয় তাই এখন সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গতকাল জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তারা অবশ্যই আলোচনা চান, কিন্তু বেলারুশে তারা বৈঠক করবেন না। উলটে, ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা বা বুদাপেস্টে বৈঠকের প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন রাশিয়াকে। তবে অবশেষে বেলারুশেই হতে চলেছে বৈঠক এবং এই বৈঠকের নির্যাস কী হয় এখন সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, ইউক্রেন প্রস্তাব খারিজ করার পর রাশিয়া চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। সমঝোতার সুযোগ নষ্ট করেছে তারা এই বক্তব্য ছিল পুতিন সরকারের।