ঘূর্ণিঝড় ইয়াস প্লাবিত হয়েছে বাংলার একের পর এক গ্রাম। নবান্নের কন্ট্রোলরুমে থেকে পরিস্থিতি দেখভাল করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই তিনি নবান্ন ছাড়বেন৷ এর পাশাপাশি প্রশাসন অনুমতি না দিলে ত্রান শিবিড়ে থাকা বাসিন্দাদের বাড়িতে না ফেররা আহ্বান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শঙ্করপুর, দীঘা, মন্দারমনি থেকে সাগর-গোসাবা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। নন্দীগ্রামে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে। বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা। বালাসোর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ অবস্থান করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ‘উপকূলবর্তী এলাকায় ১৩০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে ঘণ্টায় ৭৫ কিমি বেগে ঝড় হবে। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া ৩-৪ ঘণ্টা ধরে চলবে’। ইয়াসের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতায় স্থানীয়ভাবে টর্নেডোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ২০টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সব জেলার হালহকিকত প্রতি মুহূর্তে জেনে নিচ্ছেন তিনি। কী করতে হবে টেলিফোনে তার নির্দেশ দিচ্ছেন।