৫৪ তম বর্ষে শিলিগুড়ি সংহতি ক্লাবের পুজোর থিম, “কঠিন পাঠ”

আগে গুরুজনরা বলতেন পড়াশোনা করে যে হাতি ঘোড়া চড়ে সে।  অর্থাৎ পড়াশুনা করে হাতি ঘোড়া চরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।  তবে সময়ের সাথে সাথে হাতি ঘোড়ার উপরে চরে যাতায়াত তেমন একটা চল না থাকলেও সরকারি প্রচেষ্টাই সমাজের প্রত্যেক স্তরে পড়াশোনার আগ্রহটা বেড়েছে প্রত্যেকের।বিভিন্ন নিত্যনতুন শিক্ষা সামগ্রী থাকলেও বর্তমান আবহে পড়াশোনার মধ্যে প্রতিযোগিতাও রয়েছে চরমমাত্রায়। আর তাতেই চাপ বেড়েছে পড়ুয়াদের। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের এগোতে তাই সব ভুলে প্রায় সারাদিন চলে যায় পড়াশোনার মধ্যেই। কেও কেও সকালে ঘুম ভেঙে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া, ফিরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাসে স্কুলের পথে ফিরতে ফিরতে সেই বিকেল বা সন্ধ্যায় ফের গৃহশিক্ষক ও বিদ্যালয়ের দেওয়া হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ততায় পড়ুয়ারা। প্রায় এমন ভাবে চলচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা। তার ওপর অভিভাবকদের ইচ্ছেয় চরম প্রতিযোগিতার মাঝে ভুগছে নতুন নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা।

ঠিকই পড়াশোনার চাপে যাতাকলের মধ্যে পড়ে থাকা পড়ুয়াদের কথা ভেবে এবছর শ্যামাপুজোর ৫৪ তম বর্ষে “কঠিন পাঠ” পুজোর থিম শিলিগুড়ি সংহতি ক্লাবের। ছোটো থেকেই বিদ্যার্থীদের বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক পড়াশুনার চাপে পিঠে বই এরভাড়েও জীবন যেনো অতিষ্ট সেই ভাবনাকেও সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন উদ্যোক্তারা। পড়ুয়াদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, কি অবস্থার মধ্য দিয়ে তারা সারাদিনটা কাটাচ্ছে?  সেই ভাবনাকেই তুলে ধরেছে সংহতি ক্লাবের শ্যামা পুজো কমিটি। পাশাপাশি থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমাতে শ্যামা মা কে বিদ্যার্থীদের সেই চাপ প্রশমিত করতে দেখা যাবে।আবেগপ্রবণ এই থিম দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন পথচলতি মানুষেরা। তবে আজ সন্ধ্যা ৭টায় পুজো মণ্ডপের শুভ উদ্বোধন করবেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব এবং এরপরই খুলে দেওয়া হবে সকল দর্শকদের জন্য।