খাঁটি সোনা ছাড়া দল চলতে পারে না, সাংগঠনিক রদবদলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ

উপনির্বাচনে ধাক্কা খাবার টালমাটাল অবস্থা বঙ্গ বিজেপিতে । জেলায় জেলায় বিজেপিতে দেখা দিয়েছে অসন্তোষের ছবি। মূলত, রবিবার রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের দুই বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সুব্রত মৈত্র।পাশাপাশি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ১০ নেতাও পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে। এবার ক্ষোভের সুর শোনা গেল জলপাইগুড়ির বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর গলায়। দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেক যোগ্য নেতাকেই বঞ্চিত করেছে বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। অলোক চক্রবর্তী বলেন, খাঁটি সোনা ছাড়া দল চলতে পারে না। এখন দলে অদক্ষ কর্মীদের সামনে এনে পিছনে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দক্ষ কর্মীদের।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল করে পদ্ম শিবির। আগে মণ্ডল সভাপতি ছিলেন ৩৩ জন।এবার তা বেড়ে ৩৫ করা হয়েছে। তারমধ্যে ৩১ জনই নতুন মণ্ডল সভাপতি হয়েছেন। একসঙ্গে এত নতুন মুখ আনায় বর্তমান জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। যা শুনে প্রাক্তনকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। তাঁর দাবি, “যারা পার্টির মিটিং মিছিল বাদ দিয়ে শুধু ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, ট্যুইটার নিয়ে পার্টি করবে তাদের কী প্রয়োজন, তাই এবার নবীনদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’