অবশেষে সমাপ্ত হলো সমস্ত যুদ্ধের৷ শেষ হল বিগত দুদশক ধরে চলতে থাকে লড়াই৷ কথামতো আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী ফিরে চলে গেল আজ। সোমবার আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নিল আমেরিকা৷ এর আগে তালিবানরা হুঁশিয়ারি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে সময়মতোই মার্কিন সেনা তুলে নিতে হবে আফগানিস্তান থেকে। তালিবানের ডেডলাইন মেনেই ৩১ অগস্ট উদ্ধারকাজ শেষ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনা আফগানিস্তান মাটি ছাড়তেই ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল তালিবান। তারা বলল, এই জয় তাদের সবার। শূন্য মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে চলল উল্লাস৷ আকাশে আতসবাজি ফাটিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন করল তালিবানরা৷ দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছেড়ে দিল আমেরিকা। সেই সঙ্গে আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান হল এদিন।
অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর ১ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে গত দুসপ্তাহে এয়ারলিফ্ট করেছে মার্কিন সেনা। ২০ বছর আগে এই তালিবানের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী৷ সোমবার উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ এবং শেষ মার্কিন সেনা বিমান কাবুল এয়ারপোর্ট ছাড়তেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন, “আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে আমাদের সেনার উপস্থিতি এবার শেষ হল।” তিনি মার্কিন সেনাকে ধন্য়বাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এদিন। আফগানিস্তানে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাইডেন।
মার্কিন সেনা আফগানিস্তান মাটি ছাড়তেই তালিবানের তরফে স্পষ্ট করে বলা হল, অন্যান্য দেশে যারা আফগানিস্তানের তালিবানদের সরানোর চেষ্টা করছে তাদের কাছে আমেরিকার এই হেরে যাওয়া একটা শিক্ষা। তবে আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারা ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বলেই দাবি করছে তালিবান। এই প্রেক্ষিতেই তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মন্তব্য করে বলে, আফগানবাসীদের শুভেচ্ছা কারণ এই জয় সকলের। যদিও আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার আগে আমেরিকার সেনা ৭৩ টি হেলিকপ্টার নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে যাতে তালিবান সেগুলি একটাও ব্যবহার না করতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে প্রায় দখল করে নিয়েছে তালিবান এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কপ্টার তাদের দখলে চলে গিয়েছে।