স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার যুদ্ধ এক ভ্রাম্যমান শিল্পীর

কোনো এক সময়ে এমন দুটি পাথরের থেকে বেরিয়ে আসা ছোট্ট আগুনের ফুলকি কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলো মানবসভ্যতাকে,বর্তমানে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা সুপার ফাস্ট ট্রেনের কামরায় শিশুকে কোলে নিয়ে সেই দু টুকরো পাথরের সৃষ্টি ঝংকার আর খোলা গলায় সংগীত কে হাতিয়ার করেই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সাইথিয়ার বাসিন্ধা এই ভ্রাম্যমান শিল্পী।

অন্তত এমনটাই জানালেন নিজের সম্পর্কে।কোলকাতা থেকে হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা সুপার ফাস্ট ট্রেনের কামরায় আচমকাই পাথর ঠোকাঠুকির শব্দে সম্বিত ফেরে যাত্রীদের,তবে ততক্ষনে কোলের সন্তানকে আগলে নিয়ে, কপালে বড় সিঁদুরের টিপ পরা ঔ শিল্পী শুরু করে দিয়েছেন তার পরিবেশন।কোলের শিশুর ঘুম ভাঙছে আবার ঘুমিয়ে পরছে, তবে চোখের দুটি পাতা বড় বড় করে মেলে কান পেতে যাত্রীরা মত্ত পাথর শিল্পীর সংগীতে।

এমন অনেক কেই ট্রেনে গান গেয়ে সাহায্য তুলতে দেখলেও শুধু মাত্র দুটি পাথরের সাহায্যে এমন তাল সৃষ্টি এই প্রথম দেখলেন বলে জানালেন এক যাত্রী।যদিও শিল্পী মালা চৌধুরী নিজের এই প্রতিভা নিয়ে মুখ খুলতে বেশ অনিচ্ছুক, দীর্ঘক্ষণ লাগাতার আবদারের পরেই জানালেন পরিচয় এবং এই পেশার প্রয়োজনীয়তা।সাইথিয়ায় রয়েছে সংসার মা,বাবা, স্বামী, তাতে কি বর্তমান সময়ে কেই বা চায় স্বামীর উপার্জিত অর্থ বসে বসে খেতে, তাই তো এই রোজকার সফর।বাড়তি পাওনা সাবলম্বী স্ত্রীর সন্মান।