পূর্বাভাস অনুযায়ী আগমন ঘটলো ঝড়ের

বছর প্রায় শেষের পথে বাকি মাত্র আর কটা দিন, এর সাথে সাথেই বদলেছে আবহাওয়া৷ রাজ্য জুড়ে হালকা শীতের আবহাওয়া৷ অন্যদিকে আবার পুরোপুরি ভাবে শীত পড়ার আগেই ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি৷ আবহাওয়া অফিসের আগাম পূর্বাভাস ছিল যে শনিবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’ স্থলভাগে প্রবেশ করবে। সেই আভাস মিল গেল। মধ্য রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই তিন রাজ্য এবং ঝড়ো হাওয়ার দাপটও বিরাট। শুক্রবার মধ্য রাতে পুদুচেরী ও শ্রীহরিকোটার মধ্য দিয়ে তামিলনাড়ুর মামালাপ্পুরমে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড়ের। সেই সময়ে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিমি।

এই মুহূর্তে অবশ্য স্বস্তির খবর দিয়েছে হাওয়া মহল। জানান হয়েছে, স্থলভাগে প্রবেশের পরই ধীরে ধীরে শক্তি খোয়াতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। এদিন দুপুরের মধ্যেই তা তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারওপরে সাধারণ নিম্নচাপ হয়ে যাবে। তাই বিরাট মাত্রায় যে ক্ষয়ক্ষতি হবে না তার একটা আভাস মিলছে। তবে আজ সারাদিন ধরেই ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’-এর প্রভাব কাটতেই বাংলায় জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। উত্তুরে হাওয়ার পথ প্রশস্ত হলে বড়দিনের আগেই চুটিয়ে শীত উপভোগ করবে রাজ্যবাসী। এমনিতেই শনিবার সকাল থেকে খানিক কুয়াশাচ্ছন্ন কলকাতা শহর এবং শহরতলি। তবে এই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটা তা এখনই স্পষ্ট নয়।