তোড়জোড় শুরু হয়েছে আসন্ন ভোটের। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করতে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন যে, সেই রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে সরিয়ে দিলেই দেশ থেকে বিজেপিকে তাড়িয়ে দেবেন তারা। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একের পর এক বাণ ছুঁড়েছেন মমতা। কিন্তু তাঁর এই উত্তরপ্রদেশ সফর এবং গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যকে চরম কটাক্ষ করেছেন বাংলার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পর পর টুইট করে শ্লেষাত্মক আক্রমণ করেছেন তিনি।
শুভেন্দু এদিন টুইট করে লেখেন, ”উত্তরপ্রদেশের মানুষদের আমি বলতে চাই যে, যে মহিলা সেখানে গিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, গণতন্ত্রের মূল্যবোধের প্রচারে নেমেছেন, তাঁর হাতেই রক্ত লেগে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা সহ ৫৫ জন বিজেপি কর্মীদের রক্ত। ইতিহাস তাঁকে অত্যাচারী হিসেবেই চিনবে।” এখানেই থেমে না থাকে শুভেন্দু আরও বলেন, ”তিনি এমন সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে লক্ষাধিক বাঙালি-হিন্দু আজ ঘরছাড়া। যারা পালাতে পারেননি তারা মার খেয়েছেন। ভয়ে এখনও অনেকে ফিরতে পারেননি। তাদের সম্পত্তি লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। নারীদের ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। তাই তাঁর কথার জাদুতে কেউ দয়া করে ফাঁসবেন না”। টুইটে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও এটা বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন।
উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা ঘোষণা করেছেন যে, তিনি নিজে ভোটে লড়তে আসেননি, এসেছেন বিজেপিকে হারাতে। তার জন্যই বারাণসী যাবেন মমতা। আগামী মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে যাবেন সেখানে বলে জানিয়েছেন। মমতা জানিয়েছেন, তিনি চান উত্তরপ্রদেশের মানুষ সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিক, তাদের জিতিয়ে দিক। বিজেপিকে হারানোর জন্যই তিনি এখানে এসেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে নয়। তাঁর আশা, গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যের মানুষ এবার অখিলেশের দলকেই সমর্থন করবে এবং তাদের জেতাবে।