সদ্য মাত্রই কেন্দ্র সরকারের তরফে ঘোষিত হয়েছে নতুন প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার পরেই দেশজুড়ে মারাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিহার থেকে শুরু করে দেশের একাধিক রাজ্যে আন্দোলনের আবহ। এই ইস্যু থেকে বাদ যায়নি বাংলাও। বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালানো থেকে শুরু করে অবরোধ, ট্রেনে আগুন লাগানো, ভাঙচুর সব চলছে। এই অবস্থায় কড়া বার্তা দিল নবান্ন। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত নয়, এমন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট।
নবান্নের পক্ষ থেকে কলকাতার সমস্ত থানা তো বটেই সব জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা যেন কড়া ভাবে সামাল দেওয়া হয় সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। আসলে বিগত কয়েক দিন ধরে এমনিতেই উত্তাল বাংলা। বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছিল, এবার এই নয়া ঘোষণা আগুন ঘি দিয়েছে যেন। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে যে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে রাজি প্রশাসন। বিক্ষোভের জেরে বিপর্যস্ত শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেল পরিষেবা৷ ঠাকুরনগরেও রেল অবরোধ করা হয়। এছাড়াও বৃহৎ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে রেল পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, মালদহ টাউন-লোকমান্যও তিলক এক্সপ্রেস, হাওড়া নয়া দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস বাতিল হয়েছে। একই ভাবে বাতিল আলিপুরদুয়ার জংশন-দিল্লি এক্সপ্রেস, দিব্রুগড় লালগড় এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস। এছাড়াও যাত্রা লঘু করা হয়েছে ভাগলপুর-দানাপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ও জামালপুর-কিউল-ডেমুপ্যাসেঞ্জার ট্রেনের। আরও জানা গিয়েছে, পূর্বা এক্সপ্রেস, হাওড়া লালখুয়া এক্সপ্রেস, পাটনা-পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, দানাপুর-টাটা এক্সপ্রেস, হাওড়া-ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস, আসানসোল-টাটা এক্সপ্রেস, জয়নগর-হাওড়া এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-কিউল এক্সপ্রেস এই ট্রেন গুলি নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে চলছে।