ঘূর্ণিঝড়ের আগে সব রকম ভাবে তৈরি থাকতে চায় রাজ্য সরকার, কড়া নির্দেশ নবান্নের তরফে

চলতি বছরের শুরুর থেকে একের পর এক নিম্নচাপ বয়ে চলেছে রাজ্যের ওপর দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর আগে আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বঙ্গবাসী। সুপার সাইক্লোন নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া৷ সাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে মাথায় রেখে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্নে।

কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো যাতে দুর্বল না হয় তার জন্য দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলগুলি শক্তপোক্ত আছে নাকি তা দেখতে হবে, প্রয়োজনে ডিএম’রা নিজে নজরদারি করবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের।

আগামী ২২ তারিখ থেকে সাইক্লোনের পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপশি সাইক্লোনের কথা মাথায় রেখে উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলী জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে নবান্ন। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে, এও জানান হয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে হবে। এই তিন জেলায় বেশি প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা নবান্নের। পাশাপশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরকে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ নবান্নের।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। তাদের বক্তব্য, ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর তার প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তও ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে।