বৃষ্ট্রি মরশুম শুরু হতেই বেড়ে চলেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা। ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে অমরনাথ যাত্রীরা। আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে এল হড়পা বান এবং তার জেরেই ভেসে গেল একের পর এক পূণ্যার্থীদের তাঁবু।
অমরনাথে ঘটেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪০ জনের বেশি এখনও নিখোঁজ। এই ইস্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে খবর দেওয়ার জন্য হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এমন ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিন মমতা টুইট করে বলেন, ”অমরনাথ বিপর্যের কথা শুনে আমি স্তম্ভিত এবং দুঃখিত। নিহতদের পরিবারকে আমি গভীর সমবেদনা জানাই। আটকে পড়া পুণ্যার্থী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনের জন্যও সমবেদনা।”
এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য আগ্রহীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ নম্বরে যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ে আটকে-পড়া পর্যটকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ১১ থেকে ১২ জন পর্যটক আছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তারা সকলেই নিরাপদে আছেন।
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার জেরে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ, তাদের সাহায্য করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অমরনাথ গুহার কাছেই কিছু পূণ্যার্থীদের তাঁবু ছিল কিন্তু হঠাৎ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে হড়পা বান আসে এবং সেগুলি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু বুঝে ওঠার আগেই পূণ্যার্থীরা জলের তোড়ে ভেসে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, কমপক্ষে ২৫ টি তাঁবু ভেসে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আরও অনেক বেশি মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে।