রাজ্য সরকারের তরফে বেআইনি প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি

পূর্বেও বেশ কয়েক বার কড়া হুঁশিয়ারি জারি হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু তার পরেও আদতে কাজ হয়নি কিছুই। ‘নির্মল বাংলা’ গড়ে তুলতে হলে শুধুই প্রশাসনকে এগিয়ে এলে হবে না, সাধারণ মানুষকেও দায়িত্ব নিতে হবে। নাগরিক পরিষেবা প্রদানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদ্ধপরিকর, এমনটাই বার্তা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে। সেই কারণে বেআইনি পাতলা প্লাস্টিক, থার্মোকলের থালা, বাটি যারা বিক্রি করছেন এবং যারা তার ব্যবহার করছেন, দুজনের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে একাধিক পুরসভাগুলি। নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সামনেই আসছে বর্ষা কাল। প্রতি বছর বর্ষা এলেই শহর শহরাঞ্চলে শুরু হয় জল যন্ত্রণা। শহর ও শহরাঞ্চলে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বার বার প্রশ্ন ওঠে পুরসভা গুলির বিরুদ্ধে। তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্যই জল জমছে বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু জল জমে যাওয়ার পেছনে কারণ কী? পরিবেশবিদের একাংশের মত, যথেচ্ছে ভাবে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক, থার্মোকালের থালা, গ্লাস ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন পুর এলাকায় বর্ষায় জল জমে যাওয়ার ৯৫ শতাংশ সময়ে। এই প্রেক্ষিতেই আগামী ১ জুলাই থেকে সারা রাজ্য জুড়ে বেআইনি পাতলা প্লাস্টিক, থার্মোকলের থালা, বাটি যাঁরা বিক্রি করছেন এবং যাঁরা তাঁর ব্যবহার করছেন দুজনের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন স্থানীয় পুরসভাগুলি।

মানুষের প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে প্রচার অভিযান চালান হয় বরাহনগর পুরসভার ২০,২১,২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় বাজারে গুলিতে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বরাহনগর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু। যারা যথেচ্ছ ভাবে বেআইনি প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।